বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১০

আসুন ঢাকা বাচাই

আমরা ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটির বেশ কিছু ছাত্র মিলে আয়োজন করেছি "আসুন ঢাকা বাচাই" কর্মসূচী। আমাদের মূল লক্ষ ঢাকাবাসী কে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সচেতন করা।আমাদের এই কার্যক্রমে আপনাদের সকলের পূর্ণ সযোগিতা কামনা করছি।আসুন দূষণের কাছে নয়, আমাদের ঢাকা কে আমাদের কাছেই রাখি।

আপনার নগরী ঢাকাকে নিয়ে একবার ভাবুন।

কষ্ট করে একবার কল্পনা করুন- ভারসাম্যহীনতার কারনে ঢাকা নগরী সম্পূর্ণ
ধ্বংস হয়ে গেল। এর বিপরীতে ঠিক কি কি এবং কতখানি ক্ষতি হতে পারে, সাম্যক
ধারনা বাংলাদেশের সব মানুষকে এক করেও পাওয়া যাবে না। একটি দেশের রাজধানী
যদি সচেষ্ট উদ্যোগের অভাবে মরে যায়....তাহলে সেটা কতখানি ভারসাম্যহীনতার
পরিচায়ক হবে আমাদের জন্য???

পরিবেশ দূষণ রোধে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পাশে তরুণ সমাজ

এক কালের ঐতিহ্যের শহর ঢাকা এখন এক বাক্যে দূষণের শহর।আমরা ঢাকা বাসীরাই আমদের প্রিয় শহরটিকে সপে দিয়েছি দূষণের আধার জগতে।আর এর ফলে সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি এই আমরাই।ঢাকা সিটি কর্পরেশন তাদের বিভিন্ন কা্র্যক্রমের মাধ্যমে এই দূষন রোধের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু শুধুমাত্র তাদের প্রচেষ্টাই যথেষ্ট নয়। এগিয়ে আসতে হবে আমাদের মত সাধারণ জনগনদেরকেও, বিশেষ করে তরুণ সমাজদের।এই কার্যক্রম আমরা শুরু করতে পারি আমদের নিজ এলাকা, নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আথবা নিজ় কর্মস্থ্ল হতে।এর জন্য সবার আগে আমদের যা ক্রতে হবে তা হল সাধারন জনগনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
ঢাকার পরিবেশ দূষণ রোধে আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে মানুষ কে সচেতন করতে আমরা ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। আমাদের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হবে আমাদের ইউনিভার্সিটি এবং এর আশেপাশের এলাকা সমূহ থেকে।মূলত আমরা ৩ টি বিষইয়ের উপর বিশেষ ভাবে কাজ করতে যাচ্ছি।সেগুলো হলঃ
  • পানি দূষণ
  • বায়ু দূষণ
  • শব্দ দূষণ

মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১০

সেই ঢাকা, এই ঢাকা

ষোল শতকের কথা, সম্রাট আকবরের আমলে ঢাকায় বাস করত মাত্র ৩০০০ লোক। ১৬০৮ সালে সুবাদার ইসলাম খানের আমলে ঢাকা প্রথম রাজধানী হিসেবে ঘোষিত হয়, তখন থেকেই ঢাকার  নগরায়নের বাতাস  বইতে শুরু করে।এরপর মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭৪ সালে ঢাকার জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ কোটিতে। ১৯৮১ থকে ১৯৯১ এই এক দশকে ঢাকার জনসংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়।এভাবে বাড়তে থাকলে ২০১৫ সালে ঢাকা পরিণত হবে বিশ্বের ৫ম বৃহৎ জনহুল শহরে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হারের সাথে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ঢাকার বুকে গাড়ি ঘোড়া, কলকারানা, শিক্ষা প্রতি্ষ্ঠান এর সংখ্যা। ফলে ঢাকাবাসীর জীবণ আজ হুমকির সম্মুখীন জানজট, বায়ু দূষন, পানি দূষণ এবং শব্দ দূষণের মত মারাত্মক সব সমস্যার হাতে।আর এই দূষণ রোধে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।তাই আসুন......
দূষন থামাই, ঢাকা বাচাই, ভবিষ্যৎ সাজাই